কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম- বৈদ্যুতিক ইউনিট থেকে বিস্তারিত
প্রিয় পাঠক। আজ আমি আপনাদের সামনে এনার্জি মিটার বিদ্যুৎ বিল হিসাব এবং কিভাবে বিদ্যুৎ বিল বের করতে হয় কিভাবে সেটি নিয়েই হাজির হয়েছি। আমরা বাসা বাড়িতে কি পরিমান বিদ্যুৎ বিল ব্যবহার করতেছি.।
আর কি পরিমান বিদ্যুৎ বিল দিচ্ছি, তার একটি শহর বিদ্যুৎ বিল হিসাব এবং কিভাবে বিদ্যুৎ বিল বের করবেন সেটি আজকে আলোচনা করব। তবে বিদ্যুৎ বিল হিসাব বের করার আগে আমাদের বেশ কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে। চলুন সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচীপত্রঃ কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম বৈদ্যুনিক ইউনিট থেকে
- কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম বৈদ্যুতিক ইউনিট থেকে
- এসির বিদ্যুৎ বিল বের করার পদ্ধতি
- বাসা বাড়িতে আমরা যে ধরনের লোড ব্যবহার করি
- বিদ্যুৎ বিল এর হিসাব
- বাসা বাড়িতে বিদ্যুৎ বিলের হিসাব
- কিভাবে বিদ্যুৎ বিল অনলাইনে পরিশোধ করবে
- সহজেই বৈদ্যুতিক ইউনিট বের করার পদ্ধতি
- API ভিত্তিক অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার পদ্ধতি
- এটি পূর্ণ বিদ্যুৎ বিল সংশোধন করার নিয়ম
- লেখকের মন্তব্য
কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম বৈদ্যুতিক ইউনিট থেকেঃ
বৈদ্যুতিক ইউনিট থেকে কারেন্ট বিল বিদ্যুৎ বিল হিসাব করার নিয়মটি খুবই
সহজ। নিচে ধাপে ধাপে ব্যাখ্যা করা হলো। প্রথমে আপনার মিটার থেকে
ব্যবহৃত ইউনিট আওয়ার জেনে নিন। ধরুন আপনি 300 ইউনিট ব্যবহার করেছেন প্রতি
ইউনিটের হার জানুন বাংলাদেশের বিদ্যুতের দাম ধাপে ধাপে বাড়ে। যেমনঃ
- ইউনিট সীমা= প্রতি ইউনিট দাম (প্রায়)
- প্রথম ৭৫ ইউনিট ৩.৭৫ টাকা।
- ৭৬-২০০ ইউনিট ৫.৭২ টাকা।
- ২০১-৩০০ ইউনিট ৬.০০ টাকা।
- ৩০২-৪০০ ইউনিট ৬.৩৪ টাকা।
- ৪০০+ ইউনিট ৯.৯৪ টাকা।
ধরুন আপনি ৩০০ ইউনিট ব্যবহার করেছেন তাহলে বিল হবে প্রথম ৭৫ ইউনিট *৩.৭৫
=২৮১.২৫ টাকা। পরের ১২৫ ইউনিট (৭৬-২০০) *৫.৭২ =৭১৫ টাকা। পরের ১০০ ইউনিট
(২০১-৩০০)* ৬.০০ = ৬০০ টাকা। মোট = ২৮১.২৫ +৭১৫ +৬০০ =১৫৯৬.২৫ টাকা।
অতিরিক্ত চার্জ মিটার ভাড়া, ডিমান্ড চার্জ, ভ্যাট ৫%-১৫% ধরুন সবমিলিয়ে ১৫%
ভ্যাট যুক্ত হয় ১৫৯৬.২৫* ১৫ % = ২৩৯.৪৩ ঢাকা ফাইনাল বিল =
১৫৯৬.২৫ +২৩৯.৪৩ = ১৮৩৫.৬৮ টাকা ।
এসির বিদ্যুৎ বিল বের করার পদ্ধতিঃ
এসির বিদ্যুৎ বিল বের করার পদ্ধতিঃ একটা এসির বিদ্যুৎ বিল বের করার জন্য আপনাকে
জানতে হবে এসি কত ঘন্টা চালানো হয়। এবং তার পাওয়ার কম জন পোষণ
WATT বা KILOWATT নিজে সহজ ভাবে পুরো পদ্ধতি ব্যাখ্যা করা হলো। এসির
বিদ্যুৎ বিল বের করার ধাপ।
এসির পাওয়ার জেনে নিন। সাধারণত এসির পিছনে বা মেনুওয়ালে লেখা থাকে এক টন এসি = প্রায় ১২০০ ওয়াট = 1.2 কিলোওয়াট। ১.৫ টন এসি = প্রায় ১৮০০ ওয়াট= ১.৮ কিলোওয়াট ২ টন এসি= প্রায় ২৪০০ ওয়াট= ২.৪ কিলোওয়াট। ইনভার্টার এসি হলে ইউনিট কম খরচ হয় কারণ সে তার পাওয়ার রেগুলেট করে থাকেে।
আড়ো পড়ুনঃপ্রতিদিন ৩০০-৪০০ টাকা ইনকাম করুন বিকাশে পেমেন্ট নিন
ধরুন আপনি ১.৫ টন এসি প্রতিদিন ৮ ঘন্টা চালান। ইউনিট= POWER (KW) * সময়, ঘন্টা প্রতিদিনের ইউনিট ১. ৮ * ৮= আর ১৪.৪ ইউনিট, মাসে 30 দিন ধরে ১৪.৪* ৩০ = ৪৩২ ইউনিট বিদ্যুৎ বিল হিসাব উপরে আমরা ৪৩২ ইউনিট পেয়েছি। তাহলে ধাপে ধাপে প্রথম ৭৫ ইউনিট*৩.৭৫ =- ২৮১.২৫ /৭৬-২০০ ইউনিট (১২৫ ইউনিট) *৫.৭২ =৭১৫ / ২০১-৩০০ ইউনিট ( ১০০ ইউনিট) * ৬.০০ =৬০০ / ৩০১ - ৪০০ ইউনিট। (১০০ ইউনিট) * ৬.৩৪ = ৬৩৪ / অতিরিক্ত ৩২ ইউনিট * ৯.৯৪ = ৩১৮.০৮। মোট ২৮১. ২৫ +৭১৫ +৬০০ +৬৩৪+ ৩১৮.০৮ =২৫৪৮.৩৩ টাকা ভেট ১৫%= ৩৮২.২৫ টাকা।(প্রায়) মোট বিল ২৯৩০ টাকা শুধু এসির জন্য এসি বিদ্যুৎ বিল= (KW * ঘন্টা* দিন) * প্রতি ইউনিট রেট বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
বিদ্যুৎ বিল কমানোর কিছু উপায়
বিদ্যুৎ বিল কমানো যায় কিছু সহজ উপায়ঃ কিন্তু কার্যকর অভ্যাসের মাধ্যমে নিজে
বাসা বা অফিস দুই ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কিছু ব্যক্তিকেল ও উপায় দিলাম বিদ্যুৎ বিল
কমানোর সেরা কিছু উপায়। ইনভার্টার এসি ব্যবহার করুন, ইনভার্টার এসি সাধারণ এসির
তুলনায় ৩০-৫০% কম, বিদ্যুৎ খরচ করে তাপমাত্রা 24-২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তে রাখলে
এসি কম কষ্ট করে এবং কম ইউনিট খরচ হয়।
এনার্জি সেভিং এলইডি লাইট ব্যবহার করুন। সাধারণত বাল্ব টিউবের চেয়ে
LED করে ফেলুন অপ্রয়োজনীয় যন্ত্র বন্ধ রাখুন, কম্পিউটার লাইট ফ্যান কাজ
শেষে বন্ধ করুন, স্ট্যান্ড বাই মোরে ও যন্ত্র বিদ্যুৎ খায়, তাই পুরোপুরি বন্ধ
রাখুন দিনের আলো ব্যবহার করুন।
অফিস বা বাসায় জানালা খুলে দিনের আলো ব্যবহার করুন। লাইট কম জ্বালালে বিল অনেকটা
কমে যায়, ফ্যান ফ্রিজ এসির রেগুলার সার্ভিসিং করুন, ডার্টি ফিলটার বা কম গ্যাস
থাকলে এসি বেশি ইউনিট খরচ করে। ফ্যান বা মটর পরিষ্কার থাকলে ঘর্ষণ কম হয়,
বিদ্যুৎ বাজে ফ্রিজের দরজা বারবার খোলা বন্ধ করুন। প্রতিবাদ দরজা খোলা মানে
কম্প্রেসর কে আবার চালু হতে হয়, ইউনিট বাড়ে একসাথে যা দরকার তা বের করে দরজা
বন্ধ রাখুন।
টিম আর বা স্মার্ট লাগ ব্যবহার করুন। এসি লাইট ওয়াটার হিটার টাইম দিয়ে চালু বন্ধ করলে অপচয় কমে, মাসিক ইউনিট মনিটর করুন, প্রতি মাসে মিটারে চোখ রাখলে বুঝতে পারবেন কোন সময় খরচ বেশি হচ্ছে, এক্সট্রা টিপস পুরনো ফ্রিজ বা এসি বদলে ৫ স্টার বা bc সার্টিফাইড যন্ত্র কিনুন। সোলার প্যানেল ব্যবহার করলে দীর্ঘ মেয়াদে খরচ অনেক কমে যায়।
বাসা বাড়িতে আমরা যে ধরনের লোড ব্যবহার করি
- লাইট সাধারণত=১৫-২০০ ওয়াড?
- ফ্যান সাধারণত=৫০-৮০ ওয়াড?
- টেলিভিশন=২৫-১০০ ওয়াড?
- ল্যাপটপ=২০-৬০ ওয়াড?
- রেফ্রিজারেটর=৮০-২০০ ওয়াড?
- এসি=১০০০-৩০০০ ওয়াড?
- আইরন=৫০০-১০০০ ওয়াড?
- পাম্প মোটর=১/৮ থেকে ৩ হর্স পাওয়ার?
- ডেস্কটপ কম্পিউটার=৮০-২৫০ ওয়াড?
বিদ্যুৎ বিলের হিসাব
বিদ্যুৎ বিল হিসাব করার জন্য প্রথমে আমরা একটি নিয়ম অনুসরণ করব এবং পরে তা বাসা বাড়িতে বা যে কোন স্থানে বিদ্যুৎ বিল হিসাব করার জন্য ব্যবহার করতে পারব এটি একটি সহজ উপায় হতে পারে।
নেট বিল= এনার্জি বিল+ মিটার বিল ?
এনার্জি বিল= এক মাসে ব্যবহৃত ইউনিটের পরিমাণ (KWH) প্রতি ইউনিটের মূল্য
?
মিটার বিল= ডিমান্ডো চার্জ+ সার্ভিস চার্জ ?
ডিমান্ডো চার্জ=১৫ টাকা পার । কিলোওয়ার্ড ?
আরো পড়ুনঃএলোভেরা মুখে দিলে চুলকায় কেন জানতে বিস্তারিত
সার্ভিস চার্জ=১০ টাকা সিঙ্গেল ফেজের জন্য,৩০ টাকা থ্রি
ফেজের জন্য।
ভ্যাট = নেট বিলের সাথে ৫% যোগ।
নির্দিষ্ট সময় এর ভিতরে বিল পরিশোধ করতে না পারলে জরিমানা= নেট বিলের সাথে ৫% যোগ করে দিতে হবে।
বাসা বাড়িতে বিদ্যুৎ বিলের হিসাব
এবার একটি বাসাবাড়ির উদাহরণ দেখব সেখানে প্রতি মাসে কেমন বিল আসতে পারে, বিস্তারিত সবকিছু।
উদাহরণঃ
একটি বাসা বাড়িতে 80 Word এর 2 টি ফ্যান , 40 Word এর3 টি লাইন, 220V, 0.4A,0.8Pf এর একটি টেলিভিশন এবং 2hp এর একটি প্রাণি তোলার মটর দৈনিক গড়ে6 ঘন্টা করে চলে তাহলে ডিসেম্বর মাসের বিদ্যুৎ বিল কত টাকা হবে যদি প্রতি ইউনিটের মূল্য 6.5 টাকা করে হয় তাহলে কত হবে??
সমাধান ঃ
80 ওয়ার্ডের 2 টি ফ্যান 1 দিনে যে ওয়ার্ড খরচ করবে =80*2= 160W
40 ওয়ার্ডের 3 টি লাইটের জন্য 1 দিনে যে ওয়ার্ড খরচ করবে= 40*3=120W
1 টি টেলিভিশন এর জন্য 1 দিনে যে ওয়ার্ড খরচ করবে P=VICosq=220*0.4*0.8=70.4W
2hp একটি মোটর 1 দিনে যে ওয়ার্ড খরচ করবে 2*746=1492W
তাহলে 1 দিনে সর্বমোট যে ওয়ার্ড খরচ হবে= (120W +160W +70.4W +1492W) =1842.4W
আমরা জানি ওয়ার্ড কে1000 দিয়ে ভাগ করলে কিলোওয়াট (KW) পাব।
তাহলে এক দিনে যে কিলোওয়াট খরচ হবে=1842.4/1000=1.8424KW
আমাদের লোড গুলো কিন্তু সারাদিন 24 ঘন্টা চলবে না শুধুমাত্র ৬ ঘন্টা চলবে আমরা উদাহরণ ভালোভাবে দেখেছি।
তাহলে ৬ ঘন্টা করে চললে=1.8424*6=11.0544KWh
এবার আমরা পুরো মাসের মোট ইউনিট খরচ বের করব।
ডিসেম্বর মাস= 31 দিনে তাহলে এই মাসে মোট ইউনিট খরচ হবে= 11.0544*31=342.686KWh (ইউনিট)
দেওয়া আছে প্রতি ইউনিটের মূল্য 6.5 টাকা করে।
ওই মাসের বিদ্যুৎ বিল হবে= 342.686*6.5=2227.46 টাকা
।
কিভাবে বিদ্যুৎ বিল অনলাইনে পরিশোধ করবে
কিভাবে বিদ্যুৎ বিল অনলাইনে পরিশোধ করবেঃ বিদ্যুৎ বিল অনলাইনে পরিশোধ করা এখন অনেকটা সহজ হয়ে গেছে। আপনি ঘরে বসেই মোবাইল বা কম্পিউটার দিয়ে কয়েক মিনিটেই পেমেন্ট করতে পারবেন বিদ্যুৎ বিল। অনলাইনে পরিশোধ করার তিনটি জনপ্রিয় পদ্ধতিঃ
বিকাশ (bkash) দিয়ে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ। bkash অ্যাপ খুলুন pay bill অপশন সিলেক্ট করুন, electricity নির্বাচন করুন, আপনার বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি বেছে নিন।(যেমন) palli bidyut, desco, dpdc, nesco customer id / reference no দিন মিটারের বিলের কাগজের থাকে বিল এমাউন্ট দেখে কনফার্ম করুন pin দিয়ে পেমেন্ট সম্পন্ন করুন।
আড়ো পড়ুনঃমরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম জানুন
নগদ nagad দিয়ে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ। nagad অ্যাপ ওপেন করুন bill ,
pay , electricity এ জান, ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি সিলেক্ট করুন,
customer id দিন অ্যামাউন্ট কনফার্ম করে পিন দিয়ে পেমেন্ট দিন।
সহজেই বৈদ্যুতিক ইউনিট বের করার পদ্ধতি
সহজেই বৈদ্যুতিক ইউনিট বের করার পদ্ধতিঃ খুব সহজভাবে বৈদ্যুতিক ইউনিট (kwh) বের করার পদ্ধতি দিচ্ছি, যাতে আপনি যে কোন যন্ত্রের কত ইউনিট খরচ হয় তা নিজে হিসাব করতে পারেন। বৈদ্যুতিক ইউনিট মানে এক কিলোওয়াট বিদ্যুৎ।
এক ঘন্টা ব্যবহার =1 kwh ইউনিট। (kwh) =(watt/ 1000) * সময় (ঘন্টা) একটা ফ্যান, পাওয়ার= ৭৫ ওয়াট চালানো হয়। দিনে= 10 ঘন্টা ইউনিট =(৭৫/1000) * ১০= ০.৭৫ ইউনিট, দিনে একটা 1.5 ton ac, পাওয়ার = 1800 ওয়াট চালানো হয় দিনে = 8 ঘন্টা ইউনিট = (1800/1000) * 8= 14.4 ইউনিট/দিনে।
API ভিত্তিক অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার পদ্ধতি
API ভিত্তিক অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার পদ্ধতিঃ অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার পদ্ধতি সাধারণত ইউজারদের জন্য নয়, বরং এটি ব্যবহৃত হয় যদি আপনি একটি ওয়েবসাইট বা pos সিস্টেমের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল সংগ্রহ বা পরিশোধ সেবা দিতে চান, এটি সাধারণত প্রিনটেক কোম্পানি, ব্যাংক, মোবাইল পেমেন্ট সার্ভিস। (যেমন) Bkash Nagad ), বাবিল পেমেন্ট এগ্রিকেটররা ব্যবহার করে।
API দিকবিদ্যুৎ বিল পেমেন্ট কিভাবে কাজ করে। বিদ্যুৎ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করতে হয় আপনার সার্ভিস বা অ্যাপ কে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির। (যেমন) dpdc, desco, breb, nesco, অথবা biller aggregator । যেমন dutch- bangla payment, portonics, sslcommerz ইত্যাদি এর সঙ্গে এন্ট্রিগ্রেশন করতে হবে।
API documentation সংগ্রহ করুন বিদ্যুৎ বিল পেমেন্টের। API গুলোতে সাধারণত দুটি বড় ফাংশন থাকে। কাস্টমার আইডি দিয়ে বিলের পরিমাণ মাস বিল নাম্বার পাওয়া যায়, পেমেন্ট কনফার্ম করে বিদ্যুৎ কোম্পানির সিস্টেমে রিপোর্ট করে।
আপনি যদি বিদ্যুৎ বিল পেমেন্ট সেবা দিতে চান একটি কোম্পানি হিসেবে রেজিস্টার
করুন। পেমেন্ট গেটওয়ে বা ব্যাংকের মাধ্যমে অ্যাপ্লাই করুন। বিদ্যুৎ
ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির বা aggregator, এর API নিন API, এন্টিগ্রেশন করে
প্রোডাকশন পেমেন্ট চালু করুন।
এটি পূর্ণ বিদ্যুৎ বিল সংশোধন করার নিয়ম
এটি পূর্ণ বিদ্যুৎ বিল সংশোধন করার নিয়মঃ ভুল বা অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল extra,
erroneous bill, সংশোধনের নিয়োগ। বাংলাদেশ মোটামুটি একই নিয়মে চলে যেটা
বিভিন্ন বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির, dpdc, desco, palli bidyut,
nesco ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। নিজে ধাপে ধাপে খুব সহজভাবে পুরো
প্রক্রিয়াটি তুলে ধরা হলো।
- কবে বিদ্যুৎ বিল সংশোধন করতে হবে, মিটার রিডিং ভুল হলে সস্তা ভাবি বেশি বিল হঠাৎ করে ইউনিট ঠিক আছে, কিন্তু বেশি চার্জ করা হয়েছে, মিটার পরিবর্তনের সময় ডাবল বিল, কেটে নিয়েছে, কিন্তু জমা দেখায়নি।
- পুরো বিল বা ভুল অংশ যাচাই করুন। মিটার রিডিং, ইউনিট, রেড মিলিয়ে নিন, আগের মাসের বিলের সঙ্গে তুলনা করুন, অনলাইনে বা অফিসে গিয়ে মিটার রিডিং যাচাই করুন।
- সংশোধনের জন্য আবেদন করুন। গ্রাহক নম্বর, কাস্টমার আইডি বিল মাস ও পরিমাণ, মিটারের বর্তমান রিডিং, প্রয়োজনে ছবি ভুলের বিবরণ জাতীয় পরিচয় পত্র (nid) এর কপি, মোবাইল নম্বর,
- বিল সংশোধনের পর কি হয়, অফিস আপনার অভিযোগ যাচাই করে, মিটার রিডিং বা হিসাব মিলিয়ে সঠিক বিল নির্ধারণ করে, অতিরিক্ত বিল কেটে রিডিং এড করে দেয় অথবা পরবর্তী বিল থেকে সমান নয় করে, সংশোধিত বিল কপি দেওয়া হয়।
লেখক এর মন্তব্য
কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা শুরু করে আজকের এই আর্টিকেল। আমাদের বের করার বিষয় সম্পর্কে যে সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল প্রায় সবগুলোই করার চেষ্টা করেছি। আপনি যদি কারেন্ট বিল বের করার সহজ পদ্ধতি গুলো মেনে কারেন্ট বিল বের করতে চান তাহলে আপনার জন্য খুবই সহজ হবে। তাই আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে খুব সহজভাবে বিষয়গুলো অনুসরণ করে ভালোভাবে এটি বের করতে পারবেন।
এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক বিষয় নিয়মিত ও বিস্তারিত বুঝতে আমাদের এই পেজের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।
ইনফবারী ২৪নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url